ময়মনসিংহ বিভাগের নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় অবস্থিত বিরিশিরি গ্রাম পর্যটনপ্রেমীদের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। প্রায় ১৬৬ কিলোমিটার দূরে ঢাকা থেকে আর মাত্র ৫৫ কিলোমিটার বাকি নেত্রকোনা শহর থেকে এর সহজ যোগাযোগ এই অঞ্চলের আবেদন বাড়াচ্ছে।
কী দেখা যাবে
এখানে দেখতে পারবেন বিজয়পুরের চীনামাটির পাহাড়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৬ কিমি, প্রস্থ প্রায় ৬০০ মিটার বিস্তৃত চমৎকার সমভূমি।নীল পানির হ্রদ এবং সোমেশ্বরী নদীর তীরে কাশবন। ঐতিহাসিক বয়েজ ও গার্লস হাই স্কুল, সরকারি কালচারাল একাডেমী, দুর্গাপুর রাজবাড়ী, মঠগড় পুরাকীর্তি। স্থানীয় নৃগোষ্ঠী গারো ও হাজং সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক চিত্র, রানীখং গির্জা, সেন্ট যোসেফের গির্জা, কমলা রাণীর দীঘি।
যাতায়াত
বাসে: ঢাকা-মহাখালী থেকে দুর্গাপুরগামী বাসে প্রথমে যাবেন।তবে অনেক সময় সেগুলি সুখনগরী থামে এবং সেখান থেকে নৌকা ও রিকশায় পৌঁছাতে হয় বিরিশিরি।ট্রেনে: ঢাকার কমলাপুর থেকে ‘হাওড় এক্সপ্রেস’ শ্যামগঞ্জ স্টেশনে থামে। সেখান থেকে বাস/সিএনজি করে আপনি বিরিশিরি যেতে পারবেন।চট্টগ্রাম থেকে: অলংকার মোড় থেকে সরাসরি দুর্গাপুর যাওয়ার বাস রয়েছে।
খাবার-থাকার ব্যবস্থাপনা
স্থানীয় হোটেল ও বাজারে পাওয়া যায় ভাত, ডাল, মাছ ও মাংস—সঙ্গে বিশিষ্ট নেত্রকোনা বালিশ মিষ্টি। থাকার জন্য জেলা পরিষদের ডাকবাংলো, কিছু আবাসিক হোটেল ও গেস্টহাউস রয়েছে।প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য বিরিশিরি এক দিন ভ্রমণের জন্য চমৎকার জায়গা, আর যারা দীর্ঘদিন থাকতে চান, তাদের জন্যও পর্যাপ্ত সুযোগ রয়েছে—শান্তি, ইতিহাস ও সংস্কৃতির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি অজানা ভুবন।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..