চোখের নিচে কালো দাগ? জেনে নিন কারণ ও সমাধান

চোখের নিচে কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল এখন অনেকেরই পরিচিত সমস্যা। শুধু সৌন্দর্যহানিই নয়, এটি আমাদের চেহারায় ক্লান্তি আর বয়সের ছাপও ফেলে। কখনও আবার এটি শরীরের ভিতরের কোনো সমস্যা বা অসুস্থতার ইঙ্গিতও হতে পারে। চলুন, জেনে নিই কেন এই কালো দাগ দেখা দেয় এবং কীভাবে আমরা তা প্রতিরোধ বা কমিয়ে আনতে পারি।

ঘুমের অভাব: কম ঘুমের ফলে চোখের নিচের ত্বক পাতলা হয়ে যায়, আর রক্তনালিগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে, ফলে কালচে ভাব দেখা যায়।
বয়স: বয়স বাড়লে কোলাজেন কমে যায়। ফলে কালো দাগ বেশি স্পষ্ট হয়।
জেনেটিক প্রভাব: পরিবারের কারও এই সমস্যা থাকলে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

অ্যালার্জি: ধুলো, পরাগকণা বা পশুর লোমের অ্যালার্জিতে চোখ ফুলে যায় ও কালচে দাগ দেখা দেয়।
ডিহাইড্রেশন: শরীরে পানি কম থাকলে ত্বক নিস্তেজ হয়ে যায় ও ডার্ক সার্কেল দেখা দেয়।
রোদে অতিরিক্ত বের হওয়া: সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকে মেলানিন বাড়িয়ে দেয়। ফলে কালো দাগ গাঢ় হয়ে ওঠে।

অপুষ্টিকর খাদ্যাভ্যাস: পুষ্টির ঘাটতিতে ত্বক অনুজ্জ্বল হয় ও কালো দাগ দেখা দেয়।
ইলেকট্রনিক ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহার: দীর্ঘ সময় কম্পিউটার বা মোবাইল ব্যবহার চোখের উপর চাপ ফেলে। যা ডার্ক সার্কেলের একটি বড় কারণ।

অ্যানিমিয়া (রক্তাল্পতা): আয়রনের অভাবে ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যায় ও চোখের নিচে দাগ পড়ে।
কিডনি সমস্যা: শরীরে তরল জমে গেলে চোখের চারপাশে ফোলাভাব ও কালচে দাগ দেখা দেয়।
থাইরয়েড সমস্যা: হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ত্বকে প্রভাব পড়ে।
সাইনোসাইটিস: চোখের চারপাশে চাপ তৈরি করে, যা কালো দাগের কারণ হতে পারে।

ডার্ক সার্কেল প্রতিরোধের উপায়

প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম: অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
পানি পান করুন: শরীর হাইড্রেটেড রাখলে ত্বক সতেজ থাকে।
পুষ্টিকর খাবার খান: শাকসবজি, ফলমূল, বাদাম নিয়মিত খেলে ত্বক ভালো থাকে।
মানসিক চাপ কমান: যোগব্যায়াম, মেডিটেশন বা পছন্দের কাজ করুন মানসিক শান্তির জন্য।
রোদ থেকে বাঁচুন: বাইরে বের হলে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

চোখের নিচে কালো দাগ কোনো লজ্জার বিষয় নয়, কিন্তু যদি আমরা একটু সচেতন হই, নিয়ম মেনে চলি—তাহলে সহজেই এই সমস্যা কমিয়ে আনা সম্ভব। প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে দ্বিধা করবেন না।