কী করবেন:
১। প্রথমে পোড়ার উৎস সরান এবং কাছাকাছি থাকা গয়না বা পোশাক খুলে ফেলুন।
৬। অ্যান্টিবায়োটিক মলম লাগিয়ে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করুন।
ফোসকা দেখা দিলে:
ফোসকা না ফাটানোই ভালো। এটি শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যদি ফোসকা ফেটে যায়, তবে এলাকা পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত ড্রেসিং দিন।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন:
পোড়ার স্থান যদি মুখ, হাত, পা বা যৌনাঙ্গ হয়।
পোড়া যদি ৩ ইঞ্চির বেশি হয়।
যদি তৃতীয়-ডিগ্রির পোড়া হয় (ত্বক সাদা, কালো বা পোড়া দেখাতে পারে)।
যদি লালভাব, জ্বর বা অতিরিক্ত ব্যথা দেখা দেয় (সংক্রমণের লক্ষণ)।
পোড়ার ধরণ বুঝে চিকিৎসা নিন
প্রথম-ডিগ্রি: ত্বকের ওপরের স্তরে, হালকা লাল ও ব্যথাযুক্ত, দ্রুত সেরে যায়।
দ্বিতীয়-ডিগ্রি: ত্বকের নিচের স্তরে, ফোসকা ও তীব্র ব্যথা, সেরে যেতে সময় লাগে।
তৃতীয়-ডিগ্রি: ত্বকের সব স্তর আক্রান্ত, টিস্যু সাদা বা পোড়া দেখা যায়, কম ব্যথা হলেও বিপজ্জনক।
বরফ দিয়ে পোড়া জায়গা ঠাণ্ডা করার প্রচলিত ধারণাটি শুধু ভুল নয়, বরং তা বিপজ্জনকও হতে পারে। বরফের পরিবর্তে পানি ব্যবহার করাই নিরাপদ ও কার্যকর। প্রাথমিক চিকিৎসার সময় আপনার নেওয়া পদক্ষেপই নির্ধারণ করবে, আপনার নিরাময় কত দ্রুত ও জটিলতাহীন হবে।