দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে এবং নিষ্ক্রিয় থাকলে দ্রুত হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। বিশেষ করে মেরুদণ্ড ও নিতম্বের মতো ওজন বহনকারী হাড়গুলোতে জোর কমে যায়।এমনকি কমবয়সিদের মধ্যেও হাড়ের দুর্বলতা দেখা যায়।
ধূমপান হাড়ের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে। এটি হাড়ে রক্ত প্রবাহ কমিয়ে দেয়, ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি শোষণকে ব্যাহত করে। একই সঙ্গে নারীদের মধ্যে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ভারসাম্য কমে এবং অস্টিওব্লাস্ট নামক হাড় গঠনকারী কোষগুলোকে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত করে।এমনকি অল্প ধূমপানও হাড়ের ক্ষয় বাড়িয়ে দিতে পারে।
পরিমিত কফি পান যদিও স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে, তবে প্রতিদিন ৩০০-৪০০ মিলিগ্রামের বেশি ক্যাফেইন অর্থাৎ প্রায় ৩-৪ কাপ কফি খেলে শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণে বাধাপ্রাপ্ত হয় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম নিঃসরণ বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে সরাসরি হাড়ের গঠন ও স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে।
নিয়মিত সোডা খাওয়া
সোডায় ফসফরিক এসিড নামক একটি রাসায়নিক যৌগ থাকে। এই যৌগটি শরীরের সূক্ষ্ম ক্যালসিয়াম-ফসফরাস ভারসাম্যকে ব্যাহত করে, যার ফলে হাড় থেকে ক্যালসিয়ামের ক্ষয় বৃদ্ধি পায়।সোডায় থাকা ফসফরিক এসিড পাচনতন্ত্রে ক্যালসিয়ামের সঙ্গে আবদ্ধ হয়ে এর শোষণকে বাধা দেয়।
পর্যাপ্ত না ঘুমালে হাড়ের পুনর্গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় হরমোনের ভারসাম্য আনতে পারে না। গভীর ঘুম হাড়ের গঠন ও মেরামতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত ৬-৭ ঘণ্টার কম সময় ঘুমালে হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়।