রক্তনালিতে চর্বি ও কোলেস্টেরলের মতো পদার্থ জমলে হৃদয় পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত পায় না। এর ফলে যেকোনো সময়ই হার্ট অ্যাটাক বা হঠাৎ হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে ঘটতে পারে। এই লক্ষণগুলোকে যত দ্রুত চিহ্নিত করা যায়, বিপদ তত সহজে এড়ানো সম্ভব। কিভাবে বিপদ এড়াবেন, জেনে নিন—
বর্তমানে হার্ট অ্যাটাক এতটাই সাধারণ হয়ে উঠেছে যে, ১৮ বছর বয়সি তরুণরাও এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।দেখা যায়, কেউ জিম করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়, আবার কেউ আবার নাচতে গিয়ে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। তাই ভাববার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, হৃদরোগ শুধু বেশি বয়সিদের হয় না, কম বয়সিদেরও হতে পারে। তাই যেকোনো বয়সী ব্যক্তিদেরই সময় থাকতে সচেতন হওয়া উচিত।যাদের পরিবারে আগে থেকেই মা-বাবা, দাদা-দাদির মধ্যে কেউ হার্টের সমস্যায় ভুগেছেন, তাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি থাকে।এর পাশাপাশি যাদের হাই ব্লাড প্রেশার থাকে, তাদেরও এই সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। অতিরিক্ত মানসিক চাপও এই ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।
হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গ
কিভাবে বুঝবেন যে আপনি ঝুঁকির মধ্যে আছেন? মনে রাখতে হবে, হার্ট অ্যাটাক সাধারণত আগাম কোনো নির্দিষ্ট সংকেত দিয়ে আসে না। তাই সতর্ক থাকা জরুরি।যদি পরিবারের কারো হৃদরোগ থাকে, তবে প্রতি বছর হার্টের পরীক্ষা করানো উচিত। পরীক্ষাগুলো হতে পারে লিপিড প্রোফাইল, ইসিজি, ইকো, অ্যাঞ্জিওগ্রাফি বা টিএমটি ইত্যাদি।এ ছাড়া আপনার যদি ওজন বেশি হয়, তাহলে বছরে একবার কমপ্লিট লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করানো জরুরি। স্থূলতার কারণে হৃদরোগের ঝুঁকি বহুগুণে বেড়ে যায়। এই স্থূলতা লিভার ও কিডনির ওপর প্রভাব ফেলে, যা পরোক্ষভাবে হৃদপিণ্ডকে প্রভাবিত করে।হার্ট ব্লকেজের লক্ষণ সাধারণত ধীরে ধীরে শুরু হয় এবং সময়ের সঙ্গে বাড়ে। হাঁটলে, সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠলে বা কাজের সময় বুকে চাপ, বাঁধা, বা বাম হাতে ব্যথা শুরু হয়ে তা চোয়াল, গলা বা পিঠ পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়লে তা হার্ট অ্যাটাকের ইঙ্গিত হতে পারে।আপনি যদি অল্প পরিশ্রমেই খুব দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েন এবং বিশ্রাম নিলেও ক্লান্তি না কমে, তবে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ এসব উপসর্গ হার্টে কোনো সমস্যারই লক্ষণ হতে পারে।আপনার যদি নিয়মিত বুকে ব্যথা হয় এবং সেই ব্যথা দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়, তবে এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, আপনার হৃদযন্ত্রে কোনো না কোনো সমস্যা রয়েছে। এর জন্য একাধিক টেস্ট যেমন ইসিজি, ইকো, বা টিএমটি করানো প্রয়োজন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বুক ধড়ফড় করা, অল্প হাঁটতেই ক্লান্তি বা বাম হাতে ব্যথা—এই উপসর্গগুলোকে হালকাভাবে নেবেন না। এগুলো হতে পারে হৃদপিণ্ডে ব্লকেজের ইঙ্গিত। দ্রুত ইসিজি বা লিপিড প্রোফাইল টেস্ট করানো উচিত।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..