عَنْ أَبِي، هُرَيْرَةَ أَنَّ رَجُلاً، قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنَّ لِي قَرَابَةً أَصِلُهُمْ وَيَقْطَعُونِي وَأُحْسِنُ إِلَيْهِمْ وَيُسِيئُونَ إِلَىَّ وَأَحْلُمُ عَنْهُمْ وَيَجْهَلُونَ عَلَىَّ . فَقَالَ “ لَئِنْ كُنْتَ كَمَا قُلْتَ فَكَأَنَّمَا تُسِفُّهُمُ الْمَلَّ وَلاَ يَزَالُ مَعَكَ مِنَ اللَّهِ ظَهِيرٌ عَلَيْهِمْ مَا دُمْتَ عَلَى ذَلِكَ ” .
আবু হুরাইরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমার আত্মীয়-স্বজন আছেন। আমি তাদের সঙ্গে সদাচরণ করি; কিন্তু তারা আমাকে বিচ্ছিন্ন করে রাখে।
ইসলাম একটি সম্পর্কনির্ভর ধর্ম। আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা ইসলামের একটি মৌলিক শিক্ষা। অথচ বাস্তব জীবনে আমরা অনেকেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হই, যেখানে আত্মীয়-স্বজনদের পক্ষ থেকেই আসে অবহেলা, কষ্ট ও বিরূপ আচরণ। কিন্তু তার পরও অটুট রাখতে হবে আত্মীয়তার বন্ধনতাদের মন্দ স্বভাবের বিপরীতে সবর করতে হবে। তাহলে দুনিয়াতে যেমন প্রতিপক্ষ নিজ বিবেকের কষাঘাতে ক্ষতবিক্ষত হবে তেমনি পরকালে মিলবে উত্তম পুরষ্কার। এ হাদিস আমাদের শেখায়, আত্মীয়ের অন্যায় আচরণের জবাবে একই রকম ব্যবহার নয়, বরং ধৈর্য ও সদাচরণই মুমিনের পথ। এই ধৈর্য শুধু নৈতিক গুণ নয়, বরং এটি আখিরাতের বড় পুরস্কার ও আল্লাহর সাহায্য পাওয়ার মাধ্যম।আজকের সমাজে, যেখানে সম্পর্কগুলো ক্রমেই ভেঙে পড়ছে, সেখানে এই হাদিস আমাদেরকে স্মরণ করায় যে, উত্তম আচরণই আত্মীয়তার আসল রক্ষাকবচ।