হার্ট অ্যাটাক কেন হয়?
হার্টে রক্ত প্রবাহ বাধাগ্রস্ত হলে হৃদপেশির সঠিক সঙ্কোচন ও প্রসারণে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে হৃদযন্ত্র রক্ত সঠিকভাবে পাম্প করতে পারে না এবং এই অবস্থাকেই হার্ট অ্যাটাক বলা হয়।হার্টের করোনারি ধমনীর ব্লকেজের কারণে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে হার্টের কাজ ব্যাহত হয়। রোগীর বুকে চাপা ব্যথা, শ্বাসকষ্ট এবং অক্সিজেনের অভাবে মাথা ঘোরা বা জ্ঞান হারানোর মতো লক্ষণ দেখা দেয়। যদিও হার্ট পুরোপুরি বন্ধ হয় না, তবে কার্যক্ষমতা কমে যায়। সঠিক সময়ে হাসপাতালে নেওয়া হলে রোগীকে বাঁচানো সম্ভব।
কার কার হতে পারে এবং লক্ষণ কী কী?
হার্ট অ্যাটাক সাধারণত নীরবে আসতে পারে, যা ‘সাইলেন্ট হার্ট অ্যাটাক’ নামেও পরিচিত।তবে হার্ট অ্যাটাকের আগেই শরীর নানা সংকেত দেয়, যেমন বুকের মাঝে চাপা ব্যথা (কমপ্রেসিভ চেস্ট পেন), প্রচণ্ড ঘাম, বাম চোয়াল, কাঁধ বা হাতে ব্যথা, পিঠের ব্যথা, রাতের অস্বস্তি ও গরম লাগা। উচ্চ কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ, ধূমপান, মদ্যপান, মানসিক চাপ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ও ডায়াবেটিস হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ায়।কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট সাধারণত পূর্বনির্ধারিত লক্ষণ ছাড়াই হঠাৎ ঘটে। এটি ঘটে থাকতে পারে বারবার হার্ট অ্যাটাকের ইতিহাস, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, ওষুধের অতিরিক্ত সেবন বা জিনগত কারণে। কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে রোগীর হার্টবিট ও শ্বাস বন্ধ হয়ে যায় এবং পালস পাওয়া যায় না।