গাড়ির কালো ধোঁয়া, চোখ-নাক জ্বালিয়ে দেওয়া পোড়া গন্ধ, দমবন্ধ করা ধোঁয়াশা— এসব মিলে দূষণ ধীরে ধীরে ক্ষয় ধরাচ্ছে আমাদের ফুসফুসে। তবে তার আগেই প্রভাব পড়ছে ত্বকে। রুক্ষতা, নিষ্প্রভতা, চুল ও ত্বকে জমা ধুলাবালি— সব মিলিয়ে দূষণের ছাপ স্পষ্ট। দূষিত বাতাসে থাকা জীবাণু ত্বকে বাসা বাঁধছে, যার ফলে চর্মরোগের আশঙ্কাও বাড়ছে।শুধু রাসায়নিক প্রসাধনীর কারণে নয়, সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে এই দূষণই। তবে দৈনন্দিন রূপচর্চার কয়েকটি সহজ নিয়ম মানলেই এই দূষণের মোকাবেলা করা সম্ভব। চলুন, জেনে নিই।
মুখ পরিষ্কার রাখা
সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুতে হবে।এটি ত্বকে জমে থাকা তেল, ধুলা ও মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। বাজার থেকে ক্লিনজার না কিনতে চাইলে ঘরোয়া উপাদান যেমন দুধ-বেসন, নারকেল তেল বা গোলাপজল দিয়েও মুখ পরিষ্কার করা যেতে পারে।
টোনিং
ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স বজায় রাখতে অ্যালকোহলমুক্ত টোনার ব্যবহার করুন। এটি উন্মুক্ত রন্ধ্র সংকুচিত করতে এবং ত্বককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।সমপরিমাণ ডাবের পানি ও গোলাপজল মিশিয়ে নিজেই টোনার তৈরি করে স্প্রে বোতলে ভরে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সিরাম
দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষার জন্য ভিটামিন সি বা ই যুক্ত সিরাম খুবই কার্যকর। টি ট্রি অয়েল ও অ্যালোভেরা জেল দিয়েও প্রাকৃতিক সিরাম তৈরি করা যায়। চাইলে ভিটামিন সি সিরাম ঘরেই তৈরি করতে পারেন— অ্যাসকরবিক এসিড, গোলাপজল, গ্লিসারিন ও ভিটামিন ই ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন একটি কাচের বোতলে।
ময়েশ্চারাইজার
ত্বকের ধরন যা-ই হোক না কেন, প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার জরুরি।তৈলাক্ত ত্বকের জন্য হালকা জেল বেসড ময়েশ্চারাইজার আর শুষ্ক ত্বকের জন্য শিয়া বাটার বা কোকো বাটারযুক্ত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাই ভালো।
সানস্ক্রিন
বছরের যেকোনো সময়, বাইরে বের হওয়ার আগে সানস্ক্রিন লাগানো বাধ্যতামূলক। শুধু ট্যান পড়া নয়, ইউভিএ এবং ইউভিবি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও ত্বককে রক্ষা করে সানস্ক্রিন। অন্তত এসপিএফ ৩০ বা তার বেশি মাত্রার সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।দূষণ এড়ানো সহজ নয়, কিন্তু কিছু নিয়ম মেনে চললে ত্বককে তার ক্ষতি থেকে রক্ষা করা যায়। তাই দৈনন্দিন রূপচর্চার রুটিনে সচেতনভাবে এই ধাপগুলো যোগ করুন। ত্বক থাকবে স্বাস্থ্যকর ও প্রাণবন্ত।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..