আজওয়া খেজুর এক ধরনের বরকতময় খাদ্য, যা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নাহ। এটি নিয়মিত খেলে আল্লাহর ইচ্ছায় যাদু ও বিষের ক্ষতি থেকে হেফাজত পাওয়া সম্ভব-
عَنْ سَعْدٍ عَنْ أَبِيهِ قَالَ قَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ تَصَبَّحَ كُلَّ يَوْمٍ سَبْعَ تَمَرَاتٍ عَجْوَةً لَمْ يَضُرَّه“ فِي ذ‘لِكَ الْيَوْمِ سُمٌّ وَلاَ سِحْرٌ.
অর্থ: সা’দ তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি প্রত্যেকদিন সকালবেলায় সাতটি আজওয়া উৎকৃষ্ট খেজুর খাবে, সেদিন কোনো বিষ ও যাদু তার ক্ষতি করবে না।
-( বুখারি, হাদিস : ৫৪৪৫; মুসলিম, হাদিস : ২০৪৭)
সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা:
ইসলামী চিকিৎসা সাহিত্য ও হাদিসের বিশাল ভাণ্ডারে আজওয়া খেজুর একটি বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে।এটি কেবল সুস্বাদু ও পুষ্টিকর নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও চিকিৎসাগত দিক থেকেও একটি বিস্ময়কর ফল।উপরোক্ত হাদিস ইসলামী চিকিৎসা পদ্ধতির একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা। যদিও এটি আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা হয়েছে, আধুনিক গবেষণাও এর অনেক বাস্তব দিককে সমর্থন করেছে।
বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, আজওয়া খেজুরে রয়েছে—অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান: আজওয়া খেজুরে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস (Flavonoids) এবং পলিফেনলস (Polyphenols), যা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ (toxins) বের করে দিতে সহায়তা করে।অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রভাব, যা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে, ফলে শরীর বিষক্রিয়া বা বিষাক্ত পদার্থের প্রভাবে সহজে আক্রান্ত হয় না।ইমিউনোস্টিমুল্যান্ট ক্ষমতা, যা দেহের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়।এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২.৭ গ্রাম আজওয়া খেজুর গ্রহণ করলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে এবং হৃদরোগ ঝুঁকি হ্রাস পায়। (Hussain et al., 2023; PMC10274311)এছাড়াও আজওয়া খেজুর ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনি সমস্যার প্রতিরোধেও কার্যকর বলে প্রতীয়মান হয়েছে।
(Al-Yahya et al., 2016; PMID: 27134893)
আজওয়া খেজুর শুধুমাত্র একটি খাবার নয়, এটি একটি বরকতময় সুন্নাহ। যারা প্রতিদিন এটি নিয়মিত গ্রহণ করেন, তারা আধ্যাত্মিক সুরক্ষা ও স্বাস্থ্যগত উপকার; দুই দিক থেকেই উপকৃত হতে পারেন।
বলা যায় ইসলামী চিকিৎসা ও আধুনিক বিজ্ঞান এখানে একই বিন্দুতে এসে মিলিত হয়েছে।
এ ক্যাটাগরির আরো নিউজ..